বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রাতের আধারে ভারাটে মস্তান দিয়ে রাতের আধারে মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা। থানায় মামলা করেও বিপাকে পরেছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। প্রতিপক্ষের লোকজন প্রতিনিয়ত ভয়-ভিতি প্রদর্শন করছে। প্রতিপক্ষ ও ভারাটে মন্তানদের গ্রেফতার না করায় হামলা ও মামলার ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের লোকজন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ ও শান্তিপূর্ন সমাধান কামনা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের চেঙ্গুটিয়া গ্রামের মৃত হাসেম হাওলাদারের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক এর পিতার ক্রয়কৃত ২২ শতাংশ ও মায়ের ওয়রিশ সূত্রে প্রাপ্ত ৩৪ শতাংশ মোট ৫৬ শতাংশ জমি যা বিএস জরিপে চুরান্ত ভাবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নামে রেকর্ড হয়েছে। ওই জমিতে গত ৪ মে একই এলাকার মৃত সুলতান খলিফার পুত্র ইসমাইল খলিফা . সোহান খলিফা. ফারুক খলিফা. কোডন খলিফা ও আহম্মদ আলী মৃধার পুত্র ফারুক মৃধা. ও তার পুত্র মামুন মৃধা. রকমান হাওলাদারের পুত্র নাদের হাওলাদার. মুজাম ঘরামীর পুত্র রাজিব ঘরামী. মোজাক্কের হাওলাদারের পুত্র হামিম হাওলাদার. হারেচ হাওলাদারের পুত্র ছব্বির হাওলাদার ভারাটে মস্তানসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের চেঙ্গুটিয়া মৌজার এস ১৭ নং খতিয়ানের ১৪৫ নং দাগের ৫৬ শতাংশ জায়গা দখল করে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গেলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের রফিক. নাজমুল. ইসমাইল বাধা দিতে গেলে তাদেরকে মারধর করে গুরুতর আহত করে সাথে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নেয়। আহতরা প্রানভয়ে পালিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিকে জানালে ওই দিনই তিনি বাদি হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ঘটনাস্থান পরিদর্শনের পর ওই দিন রাতে আধারে পূর্নরায় ভেকুদিয়ে মাটি কেঠে ঘর তৈরী করছে খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষের লোকজন ও ভারাটিয়া সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে ৪মে আগৈলঝাড়া থানায় অভিযোগ করলেও তা ৯ দিন পর ১৩ মে ২০২০ ইং তারিখে মামলা হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসমাইল খলিফা বাদী হয়ে ১৫ মে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ৯জনকে আসামী করে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করে।
এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন. আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করে কোন প্রতিকার না পেয়ে ১০ মে বাংলাদেশ পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টার জেনারেল বরাবর আবেদন করি। এর পর ১৩ মে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা নেয়। এর পরেও ১৭ মে আমার অন্য জমিতে রোপিত ধান ভারাটে মন্তানদের নিয়ে কেটে নিয়ে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্কক্ষেপে পুলিশ প্রসাশন ধান উদ্ধার করে দিয়েছে। প্রতিপক্ষের লোকজন প্রতিনিয়ত ভয়-ভিতি প্রদর্শন করছে। পতিপক্ষ ও ভারাটে মন্তানদের গ্রেফতার না করায় হামলা ও মামলার ভয়ে আতঙ্কে রয়েছি। তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ ও শান্তিপূর্ন সমাধান কামনাও করেছেন।
এব্যাপারে ইসমাইল খলিফা সাংবাদিকদের জানান. আমার পিতার ক্রয় সূত্রে আমরা ওই সম্পত্তির দাবীদার। বিরোধিয় ওই সম্পত্তি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।